বাড়িতে থাকা কাঠের ফার্নিচার হোক কিংবা বুকশেলফে তুলে রাখা প্রিয় কিছু বই – সবখানেই যে পোকাটির অবাধ বিচরণ, তা হলো উইপোকা। বাংলাদেশে যে পোকাগুলো সবচাইতে বেশি ক্ষতি সাধন করে থাকে সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে আক্রমণ করার পাশাপাশি এই পোকা ফসলের জমিতেও হানা দিয়ে থাকে। আকৃতিতে ছোট্ট এই পোকাটি দলবদ্ধভাবে বসবাস করে বলে যখন এই পোকা একবার বাড়িতে আক্রমণ করে তখন তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সময় লাগে।
উইপোকা বাড়ি বা অফিসে হানা দিলে সে উপদ্রব কমানো কি অনেক কঠিন? এবার এ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিচ্ছি। সত্যি বলতে উইপোকা দূর করা একটু কষ্টসাপেক্ষ। কারণ এই পোকার প্রজনন ক্ষমতা অন্য সব পোকার চেয়ে অন্তত কয়েকগুণ বেশি। তাই উইপোকা তাড়াতে কার্যকরী ওষুধ এমন হতে হবে যেটি ব্যবহার করলে উইপোকার বংশ একেবারে নির্বংশ হয়ে যেতে পারে।
উইপোকা মারার ওষুধ কোনটি সবচেয়ে ভালো?
কোন উইপোকা মারার ওষুধ ব্যবহার করলে উইপোকা তাড়ানো যায়? এটি সবার প্রশ্ন। উইপোকা মারার ওষুধ হিসেবে আমি আপনাদের দশটি নয়, পাঁচটি নয়, বরং একটি ওষুধ ব্যবহার করার পরামর্শ দেবো যেটি বাড়িতে থাকা প্রতিটি উইপোকা দূর করে দিতে সক্ষম।
এই উইপোকা মারার ওষুধ এর নাম Kangyu Kill Insect. এই ওষুধটি কিন্তু আমাদের দেশের লোকাল মার্কেটের যেনতেন কোনো ওষুধ নয়৷ এটি চায়না থেকে ইমপোর্টেড একশোভাগ অথেন্টিক উইপোকা মারার ওষুধ, তাই আপনারা এতটুকু নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে এটি অবশ্যই আপনার বাড়িতে থাকা উইপোকা মারবেই মারবে।
সাধারণত বাজারের অন্যান্য পোকামাকড় মারার যে ওষুধ সেগুলোতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ব্যবহার করলে আমাদের চারপাশের পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে Kangyu Kill Insect ব্যবহার করলে এমন কোনো সাইড ইফেক্ট নেই।
আবার আপনাদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন তারা নাকি পোকা মারার ওষুধ থেকে যে একটি আলাদা গন্ধ বের হয় সেটি সহ্য করতে পারেন না। তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। কারণ, এই ওষুধে কিন্তু কোনো রকম গন্ধও নেই। সবচেয়ে বড় কথা এই ওষুধের দামও রাখা হয়েছে সবার হাতের নাগালেই।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
এই উইপোকা মারার ওষুধ এর ব্যবহারবিধি ও কিন্তু খুব সহজ। যেখানে যেখানে উইপোকার ঢিবি বা বাসস্থান রয়েছে সেখানে ব্যবহার করতে হয়। এ ওষুধটি সরাসরি উইপোকার ঢিবিতে ছিটিয়ে দিন, একইসাথে বাড়ির যেখানে এ পোকা রয়েছে সেখানেও ছিটিয়ে রাখুন৷
প্রয়োজনে উইপোকার বাসার ভিতরে চাপ দিয়ে ওষুধ দিয়ে দিতে হবে। যদি দেয়ালে উইপোকার বাসা তৈরি করে সে ক্ষেত্রে হালকা করে বাসা ভেঙে উইপোকার চলাচলের জায়গাতে ঔষধ দিয়ে দিতে হবে। এতে করে উইপোকার গায়ে ওষুধ লাগবে এবং খাবে। এতে উইপোকা একে অপরকে সংক্রমিত করে মারা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যদি ওষুধের ভালো ফলাফল পর্যবেক্ষণ করতে চান, তাহলে মিনিমাম ১৫ থেকে ২১ দিন একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করুন।
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এই সময়ের মধ্যেই আপনারা দেখতে পাবেন যে আপনাদের বাড়িতে থাকা উইপোকার সংখ্যা অবশ্যই কমবে। যখন একবার পোকার সংখ্যা কমতে শুরু করবে তখন এ ওষুধটি আরো কিছুদিন ব্যবহার করতে থাকুন। দেখবেন মাস খানেকের মধ্যে উইপোকার সংখ্যা শূন্যে চলে যাবে।
এটুকুই ছিলো আজকের আলোচনা। সবাইকে অনুরোধ করবো এই ওষুধটি একবার হলেও ব্যবহার করে দেখুন৷ এই ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি আপনার বাড়ির প্রতিটি ঘর এবং ঘরের বাইরের বাড়তি জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন৷ কখনোই কোথাও পানি জমতে দেবেননা। দিনের বেলায় ঘরের জানালা খুলে ও পর্দা সরিয়ে রাখুন যাতে করে ঘরে আলো বাতাস চলাচল করতে পারে। এভাবেই যদি একটু সতর্কতা অবলম্বন করেন, তাহলেই উইপোকার আক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন৷