১। চিকা একটি ম্যামাল বা স্তন্যপায়ী প্রাণী।
২। এদের সারা দেহে কোমল ধরণের লোম বা পশম বিদ্যমান।
৩। ইঁদুরের মতোই চিকার দাঁতও অত্যন্ত ধারালো, একই সাথে এটি শক্তিশালীভাবে থাবা দিতেও সক্ষম।
৪। চিকার বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে দুটি প্রজাতি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখতে পাওয়া যায়। যেগুলো হলো ধূসর চিকা ও বামন চিকা। তবে ধূসর চিকাই সবচাইতে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। সত্যি বলতে বামন চিকা এখন দুর্লভ প্রাণী নামেই পরিচিত।
এবার আসি চিকার আকৃতি নিয়ে। ধূসর চিকার আকৃৃতি ১৬ থেকে ২৫ ইঞ্চির মতো হয়, তাদের লেজের দৈর্ঘ্য আবার ৭ থেকে ১১ ইঞ্চির মতো। এদের একেকটির ওজন প্রায় ১.৫ থেকে ৪ lbs. (পাউন্ড)
৫। ধূসর চিকা কে ছুঁচো কিংবা গন্ধমূষিক নামেও ডাকা হয়ে থাকে। কারণ ধূসর চিকার কানের পেছনের গ্রন্থি থেকে উৎকট গন্ধের উৎপত্তি হয় এবং তা দ্রুতই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
৬। চিকা ফুল, ফলের বীজ, ছোট পোকা কিংবা পোকার ডিম খেয়ে জীবনধারণ করে।
৭। চিকা মূলত চার থেকে পাঁচ বছরের মতো বাঁচে।
৮। চিকা নিশাচর প্রাণী হিসেবে পরিচিত হলেও প্রয়োজনের খাতিরে এরা দিনের বেলাতেও চলাচল করে।
৯। চিকারা ইঁদুরের মতোই দল গঠন করে গর্তে বসবাস করে।
১০। একেকটি চিকার ছোট থেকে পূর্ণবয়সে যেতে সময় লাগে ছয় সপ্তাহের মতো।